মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বিচ্ছিন্ন পাড়ার নাম কুরিল্লারতলা। ওই পাড়ায় মাত্র ৭ টি পরিবার বসবাস করেন। তারমধ্যে একটি পরিবারের দুইজন প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। একজন মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (পাগল), আরেকজন শারীরিক প্রতিবন্ধী(পঙ্গু)। তাদের বাবা মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে।
এই দুই প্রতিবন্ধী মেয়ে ছাড়াও ওই পরিবারে আরও তিন বোন ও একভাই রয়েছে। এক বোনের বিয়ে হয়েছে। মা ও ভাইটি পরের ক্ষেত খামারে দিনমজুরের কাজ করে কোনরকম সংসার চালায় । মা-ছেলের সামান্য রোজগার নিয়ে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছে পরিবারটি। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি একসময় ওই তরুনদের ক্লাসমেট ছিল। ওই পাড়ার পাশের চরে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে তারা তাদের অসহায়ত্ব ও প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি জানতে পারে। তারপর খিলছাদক গ্রামের কয়েকজন তরুণ মিলে তাঁদের পরিবারকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেয় । তারপর শুরুহয় তাঁদের জন্য সাহায্য চেয়ে প্রচার প্রচারণা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের জন্য সাহায্য চেয়ে খিলছাদক গ্রামের তরুণরা পোষ্ট করে। তাদের পোষ্টে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। একেরপর এক সহযোগিতা আসতে থাকে। তারপর তরুণরা সেসব সহযোগিতা সামগ্রী প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছে গিয়ে দিয়ে আসে।
এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০০ টাকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী প্রদান করার পাশাপাশি সর্বমোট নগদ ৭০০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিদিন আসছে সহায়তা। যতদিন সহায়তা আসবে ততদিন ওই পরিবারে সেসব সহায়তা গুলো পৌঁছে দেয়া হবে। তাছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে হুইলচেয়ার প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছেন বাকলিযা থানার ওসি জনাব, নেজাম উদ্দিন।
এই মানবতায় এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে খিলছাদক তরুণদের মধ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালের ইংরেজি বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলী তানভীর, যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, চকরিয়া উপজেলা শাখার কার্যকরি সভাপতি ও অন্বেষণ সোস্যাল এন্ড ব্লাড ডোনার’স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এডমিন রবিউল হাসান এবং চট্টগ্রাম ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আরফাত হোসাইন।
Leave a Reply