কক্সবাজার টাইমস২৪#
মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের দায়ের করা মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার ১ নং আসামী বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতের পক্ষে রবিবার ( ৪ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদনটি করেন এডভোকেট মাসুদ সালাহ উদ্দিন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, সিনহার বোনের মামলাটির পুরো বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে তাতে আইনের ২০৫ ডি সেকশনকে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে সিনহা হত্যার কান্ডের বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা নিয়ে তার সন্দেহ আছে।
এডভোকেট মাসুদ সালাহ উদ্দিন আবদনে বলেছেন, বিচারকার্য সঠিক ধারায় নিয়ে যেতে হলে ২০৫ ডি সেকশন অনুসরণ করার আবেদন করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আদেশের বিরুদ্ধে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিভিশন মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কেননা সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই আরো দুইটি মামলা দায়ের করেছিল। -জানান বাদির আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটি র্যাবকে তদন্তভার দেয়া হয়। ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফের থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ এবং বাহারছরা পুলিশ ফাড়ীর তৎকালীন ইনচার্জ বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত সহ পুলিশের ৭ সদস্য। পরে র্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষী ও সর্বশেষ পুলিশের একজন কনস্টেবলকে আটক করেন। এই মামলায় এখন মোট আসামী ১৪ জন। ১২ জন আসামী এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
Leave a Reply