নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রণ (এলএ) শাখায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী, সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএ) রেজাউল করিম, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফসহ ১৯ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদের সবাইকে আগামী ১৫ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত বিভিন্ন সময়ে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্রগ্রাম-২ এ স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশও দেয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, হাজিরের সময় স্ব স্ব ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি ও মুল কপি, তাদের এবং তাদের উপর নির্ভশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা সকল ব্যাংক হিসাবের হিসাব বিবরণী সাথে নিতে হবে।
এছাড়াও তাদের আয়কর নথি ১০-বিসহ সর্বশেষ করবর্ষের কপি নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রণ শাখার সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এএলএও) মোশাররফ হোসেন, বিজয় কুমার সিংহ, কানুনগো আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, বসন্ত কুমার চাকমা, সার্ভেয়ার রাসেল মাহমুদ মজুমদার, কবির আহমেদ, ক্যাশব লাল দে, পরিমল চন্দ্র দাশ, সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, মিশুক চাকমা, আতাউল হক, পিকলু দাশ, তহশীলদার জয়নাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী এহসান কুতুবী ও আবুল হাশেম, কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ ও কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্রগ্রাম-২ এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য একজন কর্মকর্তা।
জমির মালিকদের কাছ থেকে কমিশনের টাকার রক্তচুষা দালালদের দুদক তলব করার বিষয়টি মহেশখালীতে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
Leave a Reply