কক্সবাজার টাইমস২৪ঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে দুই হাত তোলে দোয়া করলো প্রায় সাতশ এতিম শিশু। তাদের সঙ্গে অংশ নেয় শিক্ষক, অভিভাবকরাও।
আর এই মহতি আয়োজনটা হয়েছে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ মুহুরীপাড়ায় অবস্থিত ওমাইর এতিমখানায়, যেটি ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে।
জাতির জনকের স্মরণে অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শোক র্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, এতিমদের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরণ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট সকাল ৮টায় সর্বপ্রথম খতমে কুরআনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচী শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হিফজ বিভাগের ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম।
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে একটি শোক র্যালি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ সালাহুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকগণ এবং এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ওমাইর এতিমখানায় অবস্থিত ইমাম বুখারি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে লিংক রোড ও কলেজ গেইট প্রদক্ষিণ করে মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে ফিরে আসে। সকাল ১০টায় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ছাত্র—ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, হামদ—নাত, কোরআন তেলাওয়াত এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে বিভিন্ন কুইজ, ১৫ আগস্ট এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওঃ সালাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১৫ আগস্ট এর তাৎপর্য আলোচনা করেন মাস্টার ওসমান ও মাওলানা জুনাইদ সাঈদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন শাইখুল হাদিস মুফতি আব্দুল গফুর নদীম। পরে এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা আনম আমিন উল্লাহ শফিক। ওমাইর এতিমখানার ৬ শতাধিক ছাত্র—ছাত্রী ও শিক্ষক—শিক্ষিকাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ী ছাত্র—ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোর্শেদ জিন্নুরাইন, মাওলানা ক্বারী ইসমাইল।
Leave a Reply