বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার শহরের ৬নং এলাকায় ড্রেন তৈরিকে কেন্দ্র করে একটি বাড়িতে দফায় হামলা চালানো হচ্ছে। একই সাথে দফায় দফায় ওই বাড়ির লোকজনকে মারধর করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাড়িতে দুই দফা হামলা ও লোকজনকে চার দফা মারধর করা হয়েছে। দফায় দফায় হামলায় আহত হয়েছেন- ওই এলাকার মৃত ইসমাঈলের পুত্র নুরুল আলম, শফিউল আলম, খোরশেদ আলম ও মেয়ে রাবেয়া বেগমসহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ছুঁড়ে মারা ইটপাটকেলে আঘাত পেয়েছেন তিনজন পথচারী। এর মধ্যে শফিউল আলমের উপর দুই দফা হামলা চালানো হয়েছে। সামান্য ড্রেনের ঘটনাকে কেন্দ্র প্রতিবেশির উপর দফায় দফায় ন্যাক্কার হামলা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের সীমানা দেয়াল কেন্দ্র করে এলাকা চলাচলের রাস্তার বিঘ্নতা তৈরি হয়। তাই স্থানীয়রা মিলে ড্রেন নির্মাণ করে। কিন্তু কোন সহযোগিতা করেনি স্থানীয় সাহেব মিয়ার পরিবার। উল্টো যারা করেছে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহেব মিয়ার পুত্র মোঃ হানিফের নেতৃত্বে ভাড়াটেসহ শতাধিক লোক দা, কিরিচসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত ইসমাঈলের বাড়িতে প্রথম দফা হামলা চালানো হয়। এতে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছিলো। এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসের উদ্যোগ নেয় সমাজ কমিটি। এর অংশ হিসেবে সোমবার সালিশের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তা না মেনে মঙ্গলবার মাগরিবের পর আবারো একই কায়দায় মোঃ ইসমাইয়ের বাড়িতে হামলানো হয়। এসময় খোরশেদ আলমকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়।
এসময় বাড়িতে উপর্যুপরি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অন্যদিকে দফায় দফায় হামলার পরও পুলিশের ডাকে উভয় পক্ষ থানায় যায়। রাত দেড়টার দিকে থানা থেকে বাসায় ফেরার রাস্তায় ধরে আবারো শফিউল আলমকে মারাত্মকভাবে মারধরা করা হয়। এতে তার গুরুতর জখম হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘবদ্ধ হামলা চালাচ্ছে। এতে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন মৃত মোঃ ইসমাঈলের পরিবারের লোকজন। তারা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান মিরুসহ প্রতিবেশিরা অভিযোগ করেছেন, মোঃ হানিফের তিনতলা বাড়ি থেকে মৃত মোঃ ইসমাঈলের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছুঁড়া হচ্ছে। এসব পাটকেল আশেপাশের বাড়িতে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি ইটপাটকেলে কারণে একটি বাড়ির আসবাপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তারা হামলাকারীদের বিচার করেছেন।
তবে হামলার কথা সত্য নয় বলে দাবি করেন অভিযুক্তরা।
ঘটনার বিষয়টি তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ ফোন করেন ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় সংঘবদ্ধচক্র। স্থানীয় সমাজ কমিটির নির্বাচনের রেশ ধরে এসব ঘটনার সুত্রপাত বলে অনেকের অভিমত। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় তারা।
এদিকে, হামলার ঘটনায় উল্টো আহতদের বিরুদ্ধে মামলার লবিং-তদবির চলছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply