নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে রাস্তা নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল আলম অভিযোগ করেন, তার জমিতে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল। মাস তিনেক আগে ত্রিপাক্ষিক উপস্থিতিতে ডিজিটাল পরিমাপ হয়েছে। এসবের পরেও জমির সীমানার ভেতরে গিয়ে প্রকল্পের রাস্তার কাজ চলছে। এতে তার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত প্রতিকার চান ফরিদ।
তিনি বলেন, বিরোধীয় জমির আরএস খতিয়ান নং-১১৬৬, আরএস দাগ নং-৫০১, ৩৭৭, এমআরআর খতিয়ান নং-৭৭৮, এমআরআর দাগ নং-৫৫৯, ৫৬০, বিএস খতিয়ান নং- ২২৬২। এসব দাগের জমির বিরোধ নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা রয়েছে। যার মামলা নং-৪২/১২। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্তি না দিতে, গৃহ নির্মাণ, বেচাবিক্রি বা রুপ পরিবর্তন না করতে আদেশ দেন বিচারক। এ আদেশ না মানা মানে আদালত অবমাননা করা।
তিনি বলেন, বিধিমতে অধিগ্রহণকৃত জমিতে কাজ করুক। সমস্যা নাই। তার বাইরে গিয়ে জমি নেয়া মানে গায়ের জোরে করা। যেটি আইনগত অপরাধ। একই জমিতে উচ্চ আদালতে আদেশ বহাল রয়েছে। হাই কোর্টের সিভিল রোল নং-৭৫৩/২০১৩ এবং সুপ্রিম কোর্টের সিভিল রিভিউ পিটিশন নং-৫০৭/২০১৮মূলে স্বত্ব বহাল।
ফরিদুল আলম বলেন, খতিয়ানভুক্ত জমিতে কাজ করতে চাইছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে মাস তিনেক আগে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি), এলএ শাখার সার্ভেয়ার আশরাফুজ্জামান, নুরুদ্দিন, শাহিনুর রহমান, নুরুল আলম, মোঃ কাইয়ুম ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে জমি পরিমাণ করেন।
খতিয়ান মালিক ফরিদুল আলমের পক্ষে সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ও এডভোকেট কমিশনার মোঃ হারুন এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার আমানুলসহ সংশ্লিষ্টরা ভূমি পরিমাপকালে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় তারা ডিজিটাল সার্ভে করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিলেন। হঠাৎ পুরনো সীমানা থেকে আরো দক্ষিণে সরে গিয়ে মাটি খুঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত এলাইনমেন্ট সীটের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। এখানে কিছু অসাধু মানুষের কুপরামর্শ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাল্লা-মীর আকতার জেভি। বাস্তবায়ন করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি) মোঃ আমিন আল পারভেজ বলেন, কাজের আগে পরিমাপ করা হয়েছে। সরকারের জমিতে প্রকল্পের কাজ চলছে। কারো খতিয়ানে পড়লে কাগজপত্র নিয়ে আসুক।
Leave a Reply