কক্সবাজার টাইমস২৪
রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার লোকজন স্থান পেয়েছে।
তাছাড়া হামিদ উল্লাহ (৩২) নামের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মাদক, ডাকাতি, মারামারি মামলাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, হামিদ উল্লাহ ইয়াবার গডফাদার। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সে বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করে থাকে। মাদকের মামলায় আসামি হওয়ার পর ঢাকায় আত্মগোপনে থাকে। সাভারের ঠিকানায় এন.আই.ডি করে।
২০১৪ সালে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে আসে। শুরু করে ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম। ইয়াবার পরশে সে এখন বহু টাকা ও সম্পদের মালিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পূর্ব উমখালী গনি সওদাগর পাড়ার পশ্চিমে সুলতানের বাড়ীর পাশে “গরুর খামার” গড়েছে হামিদ। সেখানে ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন করে। তার কারণে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ। ধ্বংস হচ্ছে এলাকার সুন্দর পরিবেশ। অপকর্মের সব কথা জানার পরও এলাকাবাসী মুখ খোলে না।
অভিযুক্ত হামিদ উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জিআর-২৯/১৬ (রামু), জি.আর-১৬৮/১৪ (ভাসানটেক থানা ঢাকা), জি.আর ৩৭০/১৮ (রামু), জি.আর-২৭৭/১৯ (চকরিয়া), জি.আর-১৭৬/২০ (চকরিয়া), জি.আর ১৮৮/২০ (রামু), এসটি ১১১/২১ (চকরিয়া), জিআর -১৮৮/২০ (রামু), জি.আর-৩৬/০৫ (রামু)। এছাড়া হামিদ উল্লাহর নামে আরও অনেক মামলা থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
তার পাহাড়সম অবৈধ সম্পদ ও কালোটাকার কাছে এলাকাবাসী জিম্মি। ভয়ে কেউ কথা বলেনা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকে চোরাই গরু এনে গড়ে তুলে খামার।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে হামিদ ২৫-৩০ একক জমির মালিক বনে যায়। তাছাড়া পাহাড়ে বাগান আছে কয়েক একর। অনুসন্ধানে সব বেরিয়ে আসবে।
হামিদ উল্লাহ ১টি নোহা (যা গোপনে ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করে), ২টি ডাম্পার (ইয়াবা সর্বব্যাহ/পাহাড়ের মাটি কাঁটতে ব্যবহার করে), ২টি মটর সাইকেল, যাহার নং লঃ ১১-৯৭৪০) এর মালিক।
গোপনে কমিটি করার অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, দলের গঠনতন্ত্র ও নেতৃবৃন্দের আদেশ-নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী ও আওয়ামী পরিবারের সাংগঠনিক মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে জামায়াত, বিএনপির আশ্রিত, অসাংগঠনিক, রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ইয়াবা ব্যাবসায়ীদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা বলেন, সভাপতি জুহুর আলম বলি একক সিদ্ধান্তে নতুন কমিটি ও কাউন্সিলর তালিকা উপজেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দিয়েছেন। কমিটিতে ৯ জন মতো বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছেন। যে কারণে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে।
অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট অনুরোধ করেছি।
এদিকে মাদক কারবারি ও বিএনপি-জামায়াত সম্পৃক্ত লোকজন রেখে কমিটি করার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, অভিযোগ সত্যও হতে পারে। সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে থাকায় সভাপতি ও যুগ্মসম্পাদকের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply