1. khaircox10@gmail.com : admin :
অর্থবহ কাজে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করতে নাগরিক সমাজের তাগিদ - coxsbazartimes24.com
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রোগীদের সেবায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ

অর্থবহ কাজে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করতে নাগরিক সমাজের তাগিদ

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২
  • ২০৪ বার ভিউ

৬০ টি এনজিও সংগঠনের ওয়েবিনার

# বৈশ্বিক তহবিল ঘাটতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমন্বিত পরিকল্পনা অতীব জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ক্যাম্পে অর্থবহ কাজে রোহিঙ্গাদের নিয়োজিত করতে নাগিদ দিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
সেই সঙ্গে বৈশ্বিক তহবিল ঘাটতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমন্বিত পরিকল্পনা অতীব জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
বুধবার (১৫ জুন) ৬০ টি এনজিও’র নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি ও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) এর আয়োজনে “বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন” শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এই দাবি তুলেন।
নারীপক্ষের শিরীন হকের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বক্তারা রোহিঙ্গাদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি যেহেতু বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংকটের কারণে সহায়তার পরিমাণ কমে যাচ্ছে তাই তার সাথে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে তারা একটি সম্মিলিত পরিকল্পনার তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ক্যাম্পে বিভিন্ন কার্যক্রম বিশেষ করে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে প্রকৃতি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা শুরু করারও আহ্বান জানান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনএইচসিআর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জোহানেস ভ্যানডার ক্লাউ, আইওএম কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আবদুসাত্তার ইওসেভ, ডব্লিউএফপি কক্সবাজার অফিস প্রধান শীলা গুরুদুম, ইউএন উইমেনের দিলরুবা হায়দার এবং উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন পালসের প্রধান নির্বাহী আবু মোর্শেদ চৌধুরী, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
ওয়েবিনারের অন্য বক্তারা হলেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের মাহিন চৌধুরী; রিফিউজি কাউন্সিল নরওয়েজিয়ানের মাহাদী মাহমুদ; ডিজাস্টার ফোরামের নাঈম গওহর ওয়ারহা; মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি এক্সপাট আসিফ মুনির; জাগো নারীর শিউলি শর্মা ও অগ্রযাত্রার
মোঃ হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নাসিম আহম্মেদ।
এনজিও ব্যুরোর ডিজি এম তারিকুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য এইড সহায়তা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। তাই সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোর উচিৎ হবে বৈশ্বিক দাতাদের আকৃস্ট করার জন্য উপযুক্ত পন্থা খুঁজে বের করা।
ইপসা’র আরিফুর রহমান তার উপস্থাপনায় বলেন, এখানে মূল বিষয়বস্তু হলো এইড প্রদানে স্বচ্ছতা আনা। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো শুধু তহবিল সংগ্রহ, মনিটরিং ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের মতো কাজের নিজেদের নিয়োজিত রাখা উচিৎ। আর স্থানীয় এনজিওগুলোর কাজ হবে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন।
সভার সভাপতি শিরীন হক সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে সরকারের উচিৎ একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করা এবং এ্যাডভোকেসির জন্য গোলটেবিলের আয়োজন অব্যাহত রাখা। গওহর নঈম ওয়ারার সাথে মিলিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকার জেনেভা কনভেনশন স্বাক্ষর করা উচিৎ। আমরাও স্বাধীনতা যুদ্ধ চলা কালীন রিফিউজি হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছি। রোহিঙ্গারাও আমাদের দেশে এক সংকটে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়দানের ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হয়েছে।
অক্সফাম বাংলাদেশের দেশিয় পরিচালক আশীষ দালমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক শীর্ষ পর্যায়গুলো আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর জাতিসংঘ ও দাতাদেশগুলোতে জোরেসোরে এ্যাডভোকেসি করার কথা বলেন।
ইউএন ওমেন এর দিলরুবা হায়দার বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ শুরু করছে। তারা মানবিক কর্মকান্ডগুলোতেও অংশ নিতে চায়। আসিফ মুনির উত্তম কেসগুলোর ধারাবাহিক ডকুমেন্টেশন বিশেষ করে যেগুলোতে মানবিক কর্মকান্ডের উত্তম দিক রয়েছে সেগুলোকে শিখনের জন্য ডকুমেন্টেশনের প্রতি গুরুত্বরোপ করেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রতিনিধি জোহানেস বলেন, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক এনজিও সহ স্থানীয় এনজিওগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের তাদের কথা ভাবতে হবে। মালটেজার ইন্টারন্যাশনালের দেশিয় ব্যবস্থাপক রাজন ঘিমিরি রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় এনজিওগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেন।
আইওএম এর আব্দুস সাত্তার ইউসেভ বলেন, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূণ প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের ঘিরে নানা টেনশন বিরাজ করছে। অমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, লোকালাইজেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।
তিনি রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারের অংশগ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

 

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech