1. khaircox10@gmail.com : admin :
কলেজ ছাত্রীকে ৬৪ বার ধর্ষণ, ধারণকৃত ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি! - coxsbazartimes24.com
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রোগীদের সেবায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ

কলেজ ছাত্রীকে ৬৪ বার ধর্ষণ, ধারণকৃত ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি!

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০
  • ২৫১ বার ভিউ
অভিযুক্ত মঈন উদ্দীন হাসান ওরফে বাঁধন

জসিম উদ্দীনঃ
ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে বার বার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার এক কলেজ ছাত্রী। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন ওই তরুণী। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগীর বাবাকে ফোন করে বসেন ধর্ষক। প্রস্তাব দেন, এক ঘন্টার জন্য মেয়েকে তার কাছে পাঠাতে। এ সময় মেয়েকে ৬৪বার ধর্ষণ, তার মধ্যে ভিডিও ধারণ করার বর্ণনাও তরুণীর বাবাকে দেন ধর্ষক। মেয়েকে না পাঠালে ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেন ওই ধর্ষক।

এ ঘটনায় অসহায় পরিবারটি সামাজিকভাবে যে প্রতিপন্ন হবার ভয়ে তা প্রকাশ না করলেও মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং স্বপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হুমকি ও কথোপকথনের অডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

অভিযুক্ত মঈন উদ্দীন হাসান ওরফে বাঁধন চট্রগ্রামের লোহাগাড়া বড় হাতিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড লস্কর পাড়ার মৃত ওবাইদুল হাকিমের ছেলে। লোহাগাড়ার একসময় দাপটে শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাঁধন। কিন্তু নারী কেলেংকারির কারনে তাকে শিবির থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ভুক্তভোগী মেয়েটির অসহায় পিতা বলেন,২০১৭ সালে সালে বাঁধনের সঙ্গে মোবাইলে আমার ভুল নাম্বারে পরিচয় হয়। এর সূত্রধরে কুতুবদিয়া মালেক শাহর মাজারে আসলে সেখান থেকে আমার বাড়িতেও আসেন।

তিনি আরও বলেন, বাঁধন সাতকানিয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনের ভাগিনা ও বাচ্চু মিয়ার ভাতিজা পরিচয় দিয়ে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে আমার কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে তার বাবা মা ও ভাই বন্ধু পরিচয়ে কয়েকজন আমার বাড়িতে মেয়ে দেখতে আসেন এবং পছন্দ করেন। ওই সময় কাতার প্রবাসি বাঁধনের মেজ ভাই ফোনে দিন তারিখ ঠিকঠাক করবেন বলে জানিয়ে চলে যায় তারা। এর পরেই এ লম্পটের থাবা শুরু।

ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান,কাতার প্রবাসী বাঁধনের ভাই দেশে আসলে বিয়ের অপেক্ষার এক পর্যায়ে মোবাইলে বাধনের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৯সালের প্রথম দিকে বাঁধন তাদের বাড়িতে আসেন। বাবা মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।এবং তার অজান্তে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। বিয়ে হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে লম্পট বাঁধন কাউকে কিছু না জানাতে মেয়েটিকে অনুরোধ করেন।

ধর্ষিততা মেয়েটি জানান, বাঁধনের চরিত্র খারাপ দেখে তার ব্যাপারে খোঁজ নিতে বাঁধনের এলাকায় যান তার পিতা। কিন্তু বাঁধন জরুরী কাজে ঢাকায় গেছেন জানিয়ে আর দেখা করেন নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাঁধন ২০০৭ সালে বিয়ে করেছেন। তার দুটি ছেলে মেয়ে আছে।তাকে দেখতে আসা মা’ বাবা’ ঠিকানা অনুযায়ী বাড়িঘর ও প্রবাসি ভাই, সব ছিল বাঁধনের সাজানো নাটক। অভিভাবক নাটকের অডিও সংরক্ষিত আছে।

এত কিছু সামনে আসলেও লম্পট বাঁধনের হাত থেকে রক্ষা পাননি মেয়েটি।

ভুক্তভোগী মেয়েটি আরও জানান, ধর্ষণের অশ্লীল ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষক বাঁধনের ডাকে সাড়া দিতে বাধ্য করেন। তাকে মুক্তি দেয়ার আশ্বাসে পর্যাক্রমে প্রায় ৫ লাখ টাকা নেন বাঁধন।মুক্তির বদলে ভেঙে দেন তার চুপিসারে ঠিক হওয়া ৫টি বিয়ে।একসময় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি মোবাইল ফোন হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বয়ং মেয়েটির জন্মদাতা পিতার কাছে ফোন করে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে এক ঘন্টার জন্য তার কাছে মেয়েকে পাঠানোর প্রস্তাব দেন লম্পট বাঁধন। তাতে কাজ না হওয়ায় কথামত একাধিক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তরুনীর অশ্লীল ছবি পোস্ট করেন।

এরই প্রক্ষিতে নির্যাতিতা মেয়েটির পিতা ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারী মেয়েটি নিজেই পৃথক সাধারণ ডায়রী করেন। চাপে পড়ে অল্পদিনের মধ্যে সৌদি আরবে পালিয়ে যান লম্পট বাঁধন। সেখানে গিয়ে আরও হিংস্র হয়ে ওঠে সে।

সৌদিতে বসে মোবাইলে ভুক্তভোগী স্বপরিবারে হত্যার পাশাপাশি মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি পাঠিয়েছেন কয়েকজন লম্পট ব্ল্যাকমেলারদের কাছে।তারাও অসহায় মেয়েটিকে ভিডিও ফাঁস করার ভয়ে দেখি কু-প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হলে দাবি করছেন মোটা অংকের টাকা। এই অডিও রেকর্ডও সংরক্ষিত আছে।

এমতাবস্থায় অসহায় পরিবারটি প্রধামন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুবিচার দাবি করে পরিবারটিতে একাধিক উপযুক্ত মেয়ে থাকায় তাদের পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যম এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

লম্পট বাঁধনের ইতিহাস এখানে শেষ নয়। একইভাবে আরও একাধিক মেয়ের সর্বনাশের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

অভিযুক্ত বাধঁন হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিবেদককে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হলে মেয়েটির সমস্ত অশ্লীল ভিডিও দেশের সব টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হবে বলে হুমি দেন।

বিষয়টি নজরে আনা হলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পরিবারটিকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রচলিত আইন অনুযায়ী এই লম্পট এর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি নিকটতম থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে অভিযুক্তের জন্য মামলা করতে পরিবারটিকে অনুরোধ জানান।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বলেন, পরিবারটি জিডি করেছিল ঠিক। কিন্তু এতকিছু কখনো বলেনি। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech